গত ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের যে হিমবাহ ধস ঘটেছিল, তার ফলে প্রায় ২০৪ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, পরবর্তীতে উদ্ধারকার্য বাহিনীর সহায়তায় দিনরাত উদ্ধারকার্য চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণের হদিস পাওয়া গিয়েছে । তবে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জনের প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়নি ,বলেই জানাচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেক্ষেত্রে তাদেরকে মৃত ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।
চামোলীর এই হিমবাহ ধসের বিপর্যয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্যসচিব অমিত নাকি একটি প্রস্তাবনা জারি করেন। এই প্রস্তাবনা অনুসারে, জন্ম-মৃত্যু আইন ১৯৯৯ নিয়ম অনুযায়ী উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনায় নিখোজের পরিবারের কাছে উত্তরাখান্ড সরকারের তরফ থেকে মৃত্যুর শংসাপত্র পাঠানো হবে।
সাধারণত কোন ব্যক্তি যেখানে জন্মায় বা মারা যায় সেখান থেকেই তার জন্ম বা মৃত্যু শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে। তবে চামেলীর এই বিপর্যয়ের ফলে কোন ব্যক্তি যদি নিজের বাসভূমি থেকে দূরে কোথাও মারা যান সেক্ষেত্রে তাঁর পরিবার তাঁর মৃত্যু শংসাপত্র দাবি করতে পারেন । পাশাপাশি এই শংসাপত্র সাহায্যে যাবতীয় পরিমাণ ক্ষতি পূরণ পেতে সহায়তা হবে এই মৃতের পরিবার গুলির এমনটাই জানালেন উত্তরাখান্ড সরকারের স্বাস্থ্য সচিব।