শুক্রবার ইজরায়েলের দূতাবাসে যে হামলা হয়েছিল তারই তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক সূত্র সামনে এসেছে পুলিশের, যা পরিষ্কার ভাবে না হলেও, কিছুটা দিক নির্দেশ করছে যে, এই ঘটনার পিছনে ইরানের উপস্থিতি হতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করতে গিয়ে একটি ফুলের টব ও সাজি পাওয়া গেছে । সম্ভবত ওই টবের মধ্যে রাখা হয়েছিল বোমা । পাশাপাশি একটি কাগজের খামের উপরে লেখা ছিল ইজরায়েলি দূতাবাসের ঠিকানা । চিঠিটি বর্তমানে পুলিশের কাছে আছে ,পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে চিঠিতে এই বিস্ফোরণকে ট্রেলার হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে এবং ওই চিঠিতে ইরানের দুজন শহীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কাসেম সোলাইমানি অপরজন ডঃ মোহেসেন ফকরিয়াজাদের।
ডঃ ফকরিয়াজাদের ছিলেন ইরানের নামকরা পরমাণু বৈজ্ঞানিক এবং তাঁর মৃত্যুর পিছনে প্রধান কারণ ছিল ইজরাইল। এমনই এক নামকরা পরমানবিক বৈজ্ঞানিককে হারিয়ে ইরান সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাই যেকোন মূল্যেই এই হত্যার বদলা নিতে চেয়েছিলেন তাঁরা, সম্ভবত সেই কারণে গতকাল হামলা হয়েছে ইসরাইলি দূতাবাসে । দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইজরাইলি দূতাবাসের সকলেই সুরক্ষিত অবস্থায় আছেন, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে সরকার ,দোষী কে শাস্তি দেয়া হবে।