পঞ্চায়েত ভোটের আগে লড়াইয়ের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি বাকযুদ্ধ চলছে সবুজ বনাম গেরুয়ার। শাসক হোক বা বিরোধী দল কেউ কাউকে একচুলও জমি ছাড়ছে না। রাজনীতির উত্তাপে উত্তপ্ত শহর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়েন, ‘রাজ্যে কালো বাজারি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একটাও সত্য কথা বলেন না। মিথ্যে বলা ওনার এজেন্ডা। তোমরা যদি বাঘা তেঁতুল হও, আমরাও তবে বুনো ওল’। নিজের আসন বিতর্ক নিয়ে আজ রাজ্যপালের শপথ গ্রহণেও যাননি শুভেন্দু অধিকারী। এর জন্য তিনি তীব্র কটাক্ষ করে দায়ী করেছেন সরকারকে। রাজ্যে অত্যাচারীদের অত্যাচার যাতে বন্ধ হয় সে ব্যাপারে নয়া রাজ্যপালের কাছে তিনি আশাবাদী।
পাল্টা আক্রমণ স্বরূপ তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু যা বলেন তার গুরুত্ব বাংলার জনগণ তো দূর বিজেপির মধ্যেও নেই। তিনি কোন সাগর ছেঁচা মানুষ। সারদায় ব্ল্যাক মেইলার হিসেবে তার নাম রয়েছে। অবসাদগ্রস্ত এবং অপরাধগ্রস্ত হয়ে তিনি লজ্জায় আজ রাজভবনে যাননি। অথচ তিনি নাটক করছেন।‘
এদিকে এই বাকযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী খোচা দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি এবং তৃণমূলের একজন বুনো ওল আরেকজন বাঘা তেঁতুল। দুটোর জন্ম একই গাছে। কখনও তৃণমূল থেকে কেউ বিজেপিতে ঢুকছেন কখনও আবার বিজেপি থেকে কেউ ঢুকছেন তৃণমূলে। বুনো ওল আর বাঘা তেঁতুল না হয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেতারা কি মানুষ হতে পারবে!’
এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন ‘ খবরদার বিজেপির গাড়ির সামনে আসবেন না, উপর দিয়ে চলে গেলে বাবা মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে।‘ ভোটের আগে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। শাসক-বিরোধীর ডার্বি ম্যাচ দেখছে বাংলা।