সদ্য গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গতকালই অভিষেক হয়েছে তাঁর। আর তার পরই এদিন সাতসকালে দলের দুই প্রবীন নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছলেন অভিষেক। এদিন সকালে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে যান অভিষেক। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় তাঁদের। এর পরই তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর বাড়িতেও যান তিনি। পরামর্শ নেন তাঁর থেকেও। গুরুদায়িত্ব পাওয়ার পর দল পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রবীন নেতাদের অভিজ্ঞতা নিয়েই যে চলতে চান অভিষেক তা কার্যতই স্পষ্ট এদিনের এই ঘটনায়। অভিষেকের এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন” অভিষেককে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। নতুন করে আশীর্বাদে দেওয়ার কিছু নেই। ওর সঙ্গে আমাদের আশীর্বাদ আছে ।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-06-at-20.19.00.jpeg)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেক এখন অন্যতম মুখ। সাংগঠনিক বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। ও দলকে শক্তিশালী করছে।” এদিন সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের মতে সর্বভারতীয় রাজনীতির রণক্ষেত্রে নামার আগে দলের প্রবীন সৈনিকদের থেকেই রণকৌশল শিখে নিতে চাইছেন অভিষেক। গতকালই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর অনবদ্য কাজের জন্যই এই পুরষ্কার তাঁকে দেওয়া হয়েছে বলেই মত বিভিন্ন মহলের।
এবার তৃণমূল যে রাজনীতির ক্ষেত্রে নবীন-প্রবীন ভারসাম্য বজায় রেখেই চলতে চাইছে আজকের এই ঘটনার পর তা বলাই বাহুল্য।