করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মানকাজ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম দেশের রাজনীতি। এই প্রকল্পের জন্য একাধিকবার বিভিন্ন স্তরের সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। দেশের মহামারী পরিস্থিতিতে ২০ হাজার কোটি টাকার নির্মানকাজ কতখানি যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও বারবার উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ আখ্যা দিয়েই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্মানকাজ চালিয়ে গেছে দেশের কেন্দ্রীয় শাসকদল। দীর্ঘদিন লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতির জেরে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। বেহাল অবস্থা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোরও। এহেন অবস্থাতেও লকডাউনের মাঝেও চলেছে সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মানকাজ।যা নিয়ে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলাও।
এবার এই সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে সাফাই দিল কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল দেশের মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে ২০০০ কোটি টাকার ভবন বানানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে। এছাড়াও এর নির্মানকাজে কর্মরত দিনমজুরদের করোন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নিয়েও বারবার উঠেছে প্রশ্ন৷ কিন্তু এবার কেন্দ্র সাফ জানাল ২০০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছেনা সেন্ট্রাল ভিস্তা বানাতে। বিবৃতিতে জানান হয় সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মোট খরচ ২০ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে শুধুমাত্র দু’টি প্রজেক্টের। যার মধ্যে নতুন সংসদ ভবনের টেন্ডার হয়েছে ৮৬২ কোটি টাকার ও সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউর পুনর্গঠনের টেন্ডার হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকার। এই কাজ দেশে করোনা আক্রমনের আগে থেকেই চলছিল বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রও।
প্রথমে এই নির্মানকাজের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টও। কিন্তু পরে একে অত্যাবশকীয় বলেই আখ্যা দেয় তারা। আপাতত বিরোধীদের কোনো কথাতেই কান না দিয়ে যে এই প্রকল্পেএ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে কেন্দ্র, কার্যত তা বলাই বাহুল্য।