কালই প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। মানুষের বিধানে বিপুল সংখ্যক আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কাল বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক হিংসা। হামলা চালানো হয়েছে একাধিক জেলার একাধিক জায়গায়। এই হামলায় এখনো পর্যন্ত নিহত ২ বিজেপি কর্মী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই উঠে এসেছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। কার্যতই তান্ডব চেলেছে জেলায় জেলায়।
সোনারপুরে আক্রমণ চালানো হয় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে। মারধরের ফলে বারইপুর হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে সোনারপুর দক্ষিন কেন্দ্রের মেটিয়ারি এলাকার বাসিন্দা হারান অধিকারী নামে ওই বিজেপি কর্মীর।এই মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা এলাকায় হামলা চালানো হয় বিজেপি কর্মী বিশ্বনাথ ধরের বাড়িতে। তাঁর বাড়ি লাগোয়া সিসিটিভি ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা, উঠছে এমনই অভিযোগ।
খাস কলকাতার কাঁকুড়গাছি নারকেলডাঙ্গা এলাকায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দিকে। নারকেলডাঙ্গা শীতলাতলা লেনে অভিজিৎ সরকার নামে ওই বিজেপি কর্মীর পিটিয়ে খুন করা হয়। ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন বৃদ্ধা মাও। বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুরে পটাশপুরে । পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেও। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাঁরা, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করবে।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের রানীর হাট মোড় সংলগ্ন চরচুরাভান্ডার এলাকা।
তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক। তাঁদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও।