খাস ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের তালুকে গিয়ে হেনস্থার স্বীকার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল ডায়মন্ড হারবারে। এদিন জে পি নাড্ডার কনভয় শিরাকোল পৌঁছতেই গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-লাঠি ছোড়া হয়। শুধু তাই নয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ঠান্ডা পানীয় জলের বোতলও। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। কোনওমতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দেহরক্ষী ও এরাজ্যের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দেহরক্ষী গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। এদিন হামলার জেরে ভেঙে যায় নেতাদের গাড়ির কাচ। সেই কাচের টুকরোতে আহত হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। আহত হয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দেহরক্ষী। মাথা ফেটেছে এক বিজেপি কর্মীর।

এই পরিস্থিতি কাটিয়ে সভাস্থলে পৌঁছে মমতার সরকারের তুলোধনা করেন নাড্ডা। কনভয়ে হামলার অভিযোগ তুলে ‘গুন্ডারাজ’ খতম করার ডাক দেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা রাজ্যে অসহিষ্ণুতা চলছে। এই গুন্ডারাজ আর বেশিদিন চলবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডারা আমাকে আটকানোর চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেনি। আমি সুরক্ষিত আছি বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল বলে।’’ মা দুর্গাকে স্মরণ করে তিনি বলেন, তাঁর দয়াতেই এখানে আসতে পেরেছি।

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে, ঘটনার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও ফের টুইট করে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গোটা ঘটনা পরিকল্পিত ভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা মানুষের ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ বলেই মত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।