হাইকোর্টের নির্দেশে করোনা আবহে বাজি পোড়ানো ও বিক্রি বন্ধ। এই নির্দেশে উপেক্ষা করেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় চলছিল বাজি বিক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোলাঘাট থানার পয়াগ গ্রামের বাজী বাজারে হানা দেয় পুলিশ। এদিন বেশ কয়েকটি দোকানের আতসবাজি বাজেয়াপ্ত করে কোলাঘাট থানার পুলিশ। পাশাপাশি ৩ জন বাজি বিক্রেতাদের আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, কোলাঘাটের কাঠচড়া এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করে বেশ কিছু আতশবাজি সেইসঙ্গে আটক করা হয় দুই জনকে।
রাজ্য সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কালীপুজোয় বাজি না ফাটানোর আবেদন জানানো হয়। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাজি নিয়ে রাজ্যবাসীর প্রতি সরকার যে আবেদন করেছে, তা সকলের মানা উচিত। করোনা আবহে বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবছর 30 নভেম্বর পর্যন্ত বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে যেসব শহরে দূষণ কম, সেখানে দীপাবলির সময় দু’ঘণ্টার জন্য পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দেবে। তবে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোনও রকম দূষণই মারাত্বক হতে পারে বলেই ইঙ্গিত চিকিৎসকদের।