মঙ্গলে রোবোটিক রোভার পাঠিয়ে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে চীন। বুধবার চীনের ন্যাশনাল স্পেস সাইন্স সেন্টারের ওয়েবসাইটে একটি হেলিকপ্টারের প্রোটোটাইপের ছবি পোস্ট করা হয়। যা থেকে মনে করা হচ্ছে ফের মঙ্গলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জীন পিং এর দেশ।মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের পার্সিভারেন্স মিশনের জন্য যে প্রোটোটাইপ তৈরি করেছিল এটি ঠিক অনুরূপ ধাঁচের। নিয়মিত লাল গ্রহের ফলো আপ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও এই ব্যাপারে চিন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।গত মঙ্গলবার চিন মঙ্গলে রোভার প্রেরণ করেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা এখনও পর্যন্ত সবথেকে শক্তিশালী রোভার পাঠাতে সক্ষম হয়েছে তার পরেই নতুন সংযোজন চীনের নাম। নাসার তৈরি এই এয়ারক্রাফট সমুদ্র সমতল থেকে ১০ ফুট উচুতে উঠতে পারে। আর প্রথমবার ভিন গ্রহে এই এয়ারক্রাফট পাঠানো সম্ভব হয়েছিল।
মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডলে ৪ পাউন্ড ইনজেনুইনিটি ( ingenuity) ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। যাতে সাফল্য অর্জন করে আমেরিকা। অ্যারোডাইনামিক লিফটের অপ্রতুলতায় ইঞ্জিনিয়াররা প্রায় ১.২ মিটার দীর্ঘ রটার ব্লেড দিয়ে মুড়ে রেখেছিল এই যানটিকে। এগুলির বিশেষত্ব হলো বায়ু ছাড়াও ভেসে থাকতে পারে।চীনের প্রস্তুত করা এয়ারক্রাফটটি রটার ব্লেড, সেন্সর ক্যামেরার বেস, ও চারটি সরু পা দিয়ে তৈরি। ১০ টির বেশী ট্রিপ আছে যেগুলি ২ কিমির বেশি দূরত্বে যেতে সক্ষম।২০৩৩ সালের মধ্যে চিন মঙ্গলে তাদের প্রথম ক্রু মিশন করবে।আপাতত চীনের এই অভিযানের পরেই নাসা আবারও একটি রোভার পাঠাতে পারে মঙ্গলে।