যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-মৃত্যুর পর এবার আরও তৎপর রাজ্য। র্যাগিং রুখতে এবার নতুন হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও পড়ুয়া র্যাগিং-এর শিকার হলে এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। আজ, মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার। সেই বৈঠকের মধ্যেই ওই নম্বর চালু করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, র্যাগিং-এর ঘটনা ঘটলে দিনের যে কোনও সময় ওই নম্বরে ফোন করা যাবে। ফোন পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলায় জেলায় যে অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি আছে, তাদেরকে বিষয়টি জানানো হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। যিনি অভিযোগ জানাবেন, তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/08/IMG-20230822-WA0007-1024x582.jpg)
পাশাপাশি, আজ মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার। সেখানেই আরও বেশি অনুদানের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ’দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ১০ হাজার টাকা অনুদান বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন। পর্যটন থেকে শিল্প দফতর সরকারি কাজের হোর্ডিং দেবে বারোয়ারি পুজোকে। সেই বাবদও টাকা পাবে পুজো কমিটিগুলি। এই বছর বিসর্জন করতে হবে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ২৭ অক্টোবর হবে পুজোর কার্নিভ্যাল।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশ, প্রশাসন ও পুজো কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। একই সঙ্গে রাজ্যের সব জেলাতেও সরাসরি বৈঠকের সম্প্রচার হয়। জেলা প্রশাসনও যোগ দেয় বৈঠকে। মমতা পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য স্কুলের পড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।” বিসর্জনের জায়গায় আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।