নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: দুবরাজপুর বিধানসভার ফকিরবেড়া গ্রামে গতকাল ভোরবেলায় বিজেপি কর্মী পতিহার ডোমের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই গ্রামেরই পাশের একটি পুকুর থেকে।
ঐদিন সকালেই এই ঘটনার খবর পেয়ে নাম্বারপ্লেট বিহীন একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহটিকে নিয়ে যেতে গেলে পার্শ্ববর্তী ঝাউডাঙ্গা গ্রামে ওই গাড়িটি আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা । সেই সময় স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে ওই মৃতের স্ত্রী জয়শ্রী ডোম ওখানকারই বিজেপির বুথ সভাপতি দুলাল ডোমের বিরূদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুবরাজপুর থানায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ দুলাল ডোমকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তকে আজ দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন। দুবরাজপুর আদালতের এপিপি রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানান যে মৃত পতিহার ডোমের স্ত্রী জয়শ্রী ডোমের অভিযোগের ভিত্তিতেই ৩০২ ও ৩৪ ধারা মতে এই কেস রুজু করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মৃতের স্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী গত ৫ ই এপ্রিল বিজেপির একটি মিটিংয়ে দুলাল ডোমের সাথে পতিহার ডোমের বচসা বাধে। তারপর রাতে দুলাল ডোম তাঁকে ফোন করে এক জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেদিন রাতে পতিহার ডোম আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন ভোরবেলায় পতিহার ডোমের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তের স্বার্থে দুবরাজপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের ৯ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিলেন, কিন্তু দুবরাজপুর আদালতের বিচারক তাকে কেবল ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং এরই সাথে বিজেপির জামিনের আবেদনও খারিজ করেন।
বীরভূমে অতিগুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির এহেন গোষ্ঠীকোন্দল যে সেখানকার স্থানীয় নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে বর্তমানে, একথা বলাই যায়।