উপ নির্বাচনের বিরুদ্ধে আট কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্যের বিরোধী দল। ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ এর জয়লাভের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই ক্ষমতায় এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজস্ব কেন্দ্রে জিততে পারেননি তিনি। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তবে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যেই কোন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে পারলে তবেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবেন তিনি। তবে এবার সেই উপনির্বাচন না হতে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বিরোধী দল ।ওদিকে সময়সীমা প্রায় শেষ । তবে এখনও পর্যন্ত কোন হেলদোল নেই নির্বাচন কমিশনের। আর সেই কারণেই এবার, সরাসরি দিল্লিতে , কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য সরকার । ইতিমধ্যেই ৮টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখিয়ে উপ নির্বাচনের বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীদল ।
তাদের তরফ থেকে দেখানো এই আটটি কারণ হল:
১. রাজ্যে চলছে করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতি।
২. সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যেই আসতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।
৩) এখনও বন্ধ রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা, পাশাপাশি খুব কম যাত্রী নিয়ে চালানো হচ্ছে বাসগুলি।
৪) পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ লাগু করেছে। পাশাপাশি বিজেপির যেকোনো কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা কর।
৫) মূলত অক্টোবর মাস হল দুর্গাপূজার মাস। এছাড়াও সেই মাসে রয়েছে আরও বিভিন্ন বাঙালি অনুষ্ঠান।
৬) নিজেরাই করোনার দোহাই দিয়ে চলেছেন রাজ্য সরকার। আর সেই দোহাই দিয়েই নিজেই ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছেন তারা।
৭) গত কয়েকদিন আগে দিলীপ ঘোষ , শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্যের বিজেপি শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল অতিমারি আইন লংঘন।
৮) তাদের দাবি রাজ্যের বর্তমান সরকারের হাতেই পূর্ণ সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের কোনও সংকট নেই। সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয় বলে মনে করছে বিজেপি।’