সকালে স্নান করাতে গিয়ে ভেঙে যায় মন্দিরের নাড়ু গোপাল অর্থাৎ কৃষ্ণমূর্তির একটি হাত। আর তাতেই কার্যত পুরোহিতের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে । এমন প্রাণপ্রিয় নাড়ু গোপালের হাত ভাঙতেই দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সেই হাত জোড়া লাগাতে পুরোহিত হাসপাতালে ছুটে যান। আর তারপরেই হাসপাতালে পৌঁছে সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকদের তিনি কাতর অনুরোধ করেন গোপালের হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার জন্য। প্রথমে চিকিৎসকেরা মোটেও রাজি ছিলেন না , কিন্তু নাছোড়বান্দা পুরোহিত। শেষ পর্যন্ত পুরোহিতের কাতর আবেদনে সাড়া দিয়ে নাড়ু গোপালের হাতে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন । শুক্রবার এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা (Agra) জেলা হাসপাতালে।
ইতিমধ্যেই, সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নাড়ু গোপালের ভাঙা হাত নিয়ে কেঁদে চলা পুরোহিতের একটি ভিডিয়ো । হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, পুরোহিত জেলা হাসপাতালে পৌঁছান সকাল ৯টার দিকে এবং হাসপাতালের কর্মীদের মূর্তির হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ।
জানা গিয়েছে যে, গত ৩০ বছর ধরে অর্জুন নগরের খেরিয়া মোদের পাথওয়ারি মন্দিরের লেখ সিং নামের ওই ব্যক্তি পুরোহিতের কাজ করছেন । তিনি বলেন, তিনি যখন সকালে প্রার্থনা করছিলেন এবং প্রভুর মূর্তিকে স্নান করছিলেন, তখন মূর্তিটি হাত থেকে পিছলে পড়ে যায় এবং মূর্তির একটি হাত ভেঙে যায়। তার কথায়,তিনি গভীরভাবে সংযুক্ত ঈশ্বরের সঙ্গে । হতাশা থেকেই তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য মূর্তি নিয়ে জেলা । প্রথমে হাসপাতালে কেউ তার অনুরোধকে গুরুত্ব না দেওয়ায় ভিতর থেকে ক্রমশ ভেঙে পড়েছিলেন এবং ঈশ্বরের জন্য কাঁদতে শুরু করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।
জেলা হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট অশোক কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন যে এক পুরোহিত মূর্তির ভাঙা হাত নিয়ে এসে চিকিৎসা করার জন্য কাঁদছিলেন। পুরোহিতের অনুভূতি ও সন্তুষ্টির কথা বিবেচনা করে মূর্তিটির হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।