পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি,এস.এস.সির মতই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কলেজে সরকারি অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। অভিযোগ কোন প্রার্থী কত নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তার কোনো উল্লেখই নেই কোথাও। এমনকি উঠছে মেধা তালিকা বহির্ভূত প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে এমন অভিযোগও।
এরই প্রতিবাদে কলেজস্ট্রীটে প্রতিবাদ চলে। প্রতিবাদকারীদের দাবী, যোগ্য হয়েও মেলেনি ক্লাসরুমে পড়ানোর অধিকার, তাই তাঁরা খোলা আকাশের নীচেই বানিয়ে নিতে চান নিজেদের ক্লাসরুম। মেধা তালিকা ভুক্ত হবু অধ্যাপক হিমাদ্রী মন্ডল জানান ” ২০১৮ এর মেধাতালিকা বহির্ভূত বেশ কিছু প্রার্থী নিয়োগ পত্র পেলেও আমরা প্রায় ১বছর ধরে মেধাতালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও বারবার নিয়োগের দাবী জানানেও তাতে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাজ্যসরকার। এমনকি মেধাতালিকা ভুক্ত প্রার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বারও প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে কলেজ গুলিতে শূন্যপদ প্রায় ৬৫%। এই বিপুল পরিমাণ পদ শূন্য থাকার পরও মেধাতালিকা ভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে অক্ষম সরকার।” মেধাতালিকার মেয়াদ শেষের আগেই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে আরেক আন্দোলনকারী বিনয় কৃষ্ণ পালের কথায় ” বাংলার গর্ব সত্যজিৎ রায়ের দেখানো পথেই হাঁটছি আমরা। ঠিক যেমন হীরক রাজার দেশে উদয়ন পন্ডিতের পাঠশালা বন্ধ করে দেওয়ার পরও উদয়ন পন্ডিত খোলা আকাশের নীচেই শিক্ষা দিত শিশুদের, আমরাও বেছে নিচ্ছি একই পথ। দরকারে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবো, গিয়ে প্রচার করব। বর্তমান সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিয়ে তাদের দেওয়া দানের ওপর নির্ভরশীল বানাতে চায়। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায়না”।
এই বিষয়ে অবশ্য সরকারি তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই ভাবী অধ্যাপকদের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে রয়েছে গভীর ধোঁয়াশা।