করোনাকালে গ্রাহকদের জন্য বড় ধাক্কা । প্রয়োজন হলেই তোলা যাবে না প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,প্রভিডেন্ট ফান্ড হল কোন সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিম। মূলত কোম্পানীগুলির বেতনভুক্ত কর্মচারীরা নিজের বেতনের ১০ শতাংশ এবং কোম্পানিও ওই কর্মচারীর বেতনের ১০% এই স্কিমের মাধ্যমে জমা করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছু বছর আগে পর্যন্ত এই অর্থ বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ১০ শতাংশের জায়গায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত জমা দিতে হত । প্রভিডেন্ট ফান্ডের নিয়ম অনুসারে কোন বেতনভুক্ত কর্মচারী কোম্পানি পরিবর্তনের সময় অথবা অবসর নেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে করোনাকালের কঠিন পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি সংস্থার তরফে প্রভিডেন্ট ফান্ডের একাংশ টাকা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ইপিএফও সদস্যদের করোনাকালের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে এই নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সম্পূর্ণ অর্থ তুলে নেওয়া যাবে না, বলেও জানানো হয়েছিল তাঁদের তরফ থেকে। তবে সংক্রামক পরিস্থিতিতে কীভাবে অর্থ তোলা যাবে তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম জানানো হয়েছে। ১৯৫২ সালের ইপিএফ স্কিমের নিয়ম অনুসারে মহামারী দেখা দিলে সদস্যদের অগ্রিম অনুদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এই স্কিমের তরফে। কোনও ব্যক্তি তাঁর ইপিএফ ব্যালেন্স থেকে তিন মাসের বুনিয়াদি বেতনের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ভাতা বা তাঁর অ্যাকাউন্টের ৭৫% পাবেন। তবে যে সমস্ত বেতনভুক্ত কর্মচারীরা দীর্ঘকালীন চাকরি জীবন পার করার পরে অবসর নিয়েছেন তাঁরা প্রয়োজনমত এই টাকা সম্পূর্ণ তুলে নিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।