করোনা তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ হতে পারে শিশুদের মধ্যে। আর সেই সম্ভাবনা থেকেই আগেভাগে শিশুদের বাঁচাতে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র সরকার। করোনাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় রেমডেসিভির । তবে শিশুদের ক্ষেত্রে সেই ওষুধ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। কম্প্রিহেনসিভ গাইডলাইনস ফর ম্যানেজমেন্ট অফ কোভিড ১৯ ইন চিল্ড্রেনের শীর্ষক এই বিস্তারিত গাইডলাইনে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আগামীদিনের শিশুদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ রুখতেও কোন ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না রেমডেসিভির।কেবলমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যে শিশুরা থাকবে তাঁদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে স্টেরয়েড। মূলত রেমিডিসেভার ব্যবহার না করার পেছনে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানতে পারে গেছে, এখনও পর্যন্ত শিশুদের শরীরে এই ওষুধের ব্যবহার, প্রয়োগ এবং তাঁর সফলতা সম্পর্কে কোনো বিশেষ তথ্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে শুরু করতে হবে অক্সিজেন থেরাপি। তবে তাঁর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে দিতে হবে লিপিড এবং ইলেক্ট্রোলাইট। পাশাপাশি ভবিষ্যতে প্রয়োজন বুঝে শুরু করা যেতে পারে কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপি। স্টেরয়েডের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেহেতু স্টেরয়েড এমন একটি ওষুধ যা মৃদু উপসর্গ এবং উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বিপদজনক হতে পারে তাই কেবলমাত্র হাসপাতালে চিকিৎসারত করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়াও প্রথমত ডাক্তারদেরকে বলা হয়েছে শ্বাসকষ্ট নেই এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ৬ মিনিটের ওয়াক টেস্ট করে দেখতে হবে, যদি ৬ মিনিট হাটাহাটির পরে তাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৪% নিচে নেমে যায় অথবা এক ধাক্কায় তা ৩-৪ শতাংশ করে নামতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে শিশুটির শরীরে হাইপক্সিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করতে হবে তাঁদের।