এদিন বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, অপরুপা পোদ্দার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রায় সাত-আট জন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়ক ইতিমধ্যে বিজেপিতে আসার পরিকল্পনা করে আছেন। শনিবার দল কতৃক ‘যুব চেতনা ও শ্রমদান’ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এদিন সাত সকালে ঝাঁটা হাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণুপুর শহরের জোড় মন্দির প্রাঙ্গনে পোড়া মাটির হাট পরিস্কারের কাজে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ, পোড়া মাটির হাটের মাঠে ছড়িয়ে থাকা প্লাষ্টিক, থার্মোকল এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ সুলভ শৌচাগার ইত্যাদি পরিস্কারের কাজ করেন তিনি। তখনই তিনি এই বক্তব্য রাখেন।
এদিন সৌমিত্র খাঁ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেন যে ছিন্নমস্তা মায়ের মন্দিরে দাঁড়িয়ে তিনি পূর্বে বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি তে আসবেন, তখন তৃণমূল তা নিয়ে হেসেছিল। শতাব্দী রায়কে ‘দিদি অভিনয় করে আটকালেন’। কিন্তু এবার শতাব্দী রায়ও যোগ দেবেন বিজেপিতে। প্রসঙ্গত, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে ১২ জানুয়ারী থেকে ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত ‘যুব চেতনা ও শ্রমদান’ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তার নির্বাচনী এলাকায় সেই কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার দিল্লিতে দলের বঙ্গ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিজেপির নেতৃত্ব তৃণমূল নেতাদের বিজেপি দলে আনার প্রক্রিয়ায় এবার ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলতে বলেছেন৷
এদিন সন্ধে থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ৬ কৃষ্ণমেনন মার্গের বাসভবনে তাঁর উপস্থিতিতে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়রা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়। কদিন আগে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা৷ এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই বার্তা পরিষ্কারভাবে দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এই নির্দেশের পিছনে নাগপুরের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন দিল্লিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, দলে এলেই যে বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হবে না। এমন কোনও শর্ত দিয়ে কাউকে নেওয়া হচ্ছে না। তাদের তরফে শুধু ঝান্ডা দেওয়া হচ্ছে।