অধিকারী গড় কাঁথিতে আজ শক্তি প্রদর্শন করল তৃণমূল। অথচ দেখা মিলল না দুই সাংসদ ও কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের। তবে কাঁথি থেকেই অধিকারী গড়ের পুত্র শুভেন্দুকে বিঁধতে গিয়ে তাঁরই বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকেই নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে মিছিল করে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। তবে মিছিলে যোগ দেননি অধিকারী পরিবারের কেউ যোগ দেননি। এদিনের মিছিলকে ঐতিহাসিক মিছিল বলে দাবি করেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়।
এদিন শুভেন্দুকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, শুভেন্দু অমিত শাহের পা যেদিন ধরল, আমার মনে হল, এই দিন দেখার চেয়ে মৃত্যু হওয়া ভাল ছিল। পরিবারতন্ত্রের কথা শুভেন্দুর মুখে মানায় না। শিশির অধিকারী না থাকলে ওই বাড়িতে বসে থাকতে হত, কেউ চিনত না। এরপরই বিজেপি নেতাদের নাম করে করে তাঁদের পিতৃ পরিচয় তুলে ধরে পরিবারতন্ত্রের ব্যাখ্যা দেন। শুভেন্দুকে প্রশ্ন ছুড়ে ফিরহাদ বলেন, সারা দেশে যার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে, আর আপনি তাদের দলেই যোগ দিয়েছেন? লজ্জা করে না আপনার? শুভেন্দু চলে যাওয়ায় তৃণমূল কর্মীরা খুশি হয়েছেন বলেই দাবি করেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।
ফিরহাদের পাশাপাশি শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলেন, বিশ্বাসঘাতকতার জন্য মানুষ শুভেন্দুকে ক্ষমা করবে না। সিরাজদৌল্লা হেরে গিয়েছেন, কিন্তু মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে। বাংলার অষ্মিতা, বাংলার আত্মসম্মাান আমরা কোনওদিন ভুলব না। এদিন দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁকে মত্ত ষাঁড় বলে বসেন সৌগত। তাঁর কথায়, উনি একটা মত্ত ষাঁড়ের মতো, যখন-তখন যাকে-তাঁকে গুঁতিয়ে দিচ্ছে। এরপরই অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। সৌগতের মতে, পশ্চিমবঙ্গে দিলীপ ঘোষ ব্যর্থ বলেই বাইরে থেকে হনুমানরা ধুপ ধুপ করে লাফিয়ে লাফিয়ে এ রাজ্যে পড়ছে। তাঁর নিশানায় আসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। বর্গীরা আমাদের দেশে লুঠতরজা করত। ওরা একটা মালকে এ রাজ্যে পাঠিয়েছে, তার নাম কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, কাঁথিতে শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে যে ভাষার ব্যবহার করেছে তৃণমূল তাতে বিজেপিকে বাগে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।