গতকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার পর বর্তমানে শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপের আকার নিয়েছে ইয়াস। এই মুহুর্তে নিম্নচাপটি অবস্থান করছে ঝাড়খন্ডের দক্ষিণ ভাগে। ঝড়ের ফাঁড়া কাটলেও এখনও সম্পুর্ণ বিপদমুক্ত নয় বাংলা, এমনটাই দাবী আবহাওয়াবিদদের। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে কার্যতই ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার কয়েক লক্ষ বাড়ি। ঘরছাড়া প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের দোসর ছিল পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ। যার ফলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা যায় নদী-সমুদ্রে। ইতিমধ্যেই গতকালের আশঙ্কাকে সত্যি করে ভরা কোটালের কারণে সমুদ্রের জল আবারও ঢুকতে শুরু করেছে দিঘা উপকূলের গ্রামে।জল ঢুকছে সুন্দরবন এলাকাতেও। সেই সঙ্গেই গতকাল গঙ্গার জলস্তর বেড়ে প্লাবিত হয়েছে কলকাতার কিছু এলাকাও। আজ ভরা কোটালের দরুন গঙ্গার জলস্তর আরও ১৮ ফুট অবধি বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাই করা হচ্ছে এই মুহুর্তে।যার ফলে প্লাবিত হবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।
অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আজ সারাদিন ধরেই। সেই সঙ্গে থাকবে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অবস্থান করছে ঝাড়খন্ডের দক্ষিণ ভাগে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেও। ঝাড়খন্ড এলাকায় বৃষ্টি হলে আরও বাড়বে গঙ্গা সহ বাংলার নদী গুলির জলস্তর, এমন আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা।