করোনায় ওষ্ঠাগত নিত্যযাত্রীদের প্রাণ। করোনা সংক্রমণ রুখতে, বন্ধ করা হয়েছিল সমস্ত পরিবহন মাধ্যম। প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে অফিসে যেতে যেতে পকেটে টান পড়েছে সমস্ত মধ্যবিত্তদের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শেষ হয়েছে পরিবহন কর্মীদের টিকাকরণ।এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার সরকারি পরিবহণের সাথে যুক্ত কর্মী এবং প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বেসরকারি বাস, ট্রাক, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব চালকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ওদিকে আগামীকালই মেয়াদ শেষ হতে চলেছে কার্যত লকডাউনের। তাই আগামীদিনে নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে কার্যত লকডাউনের বিধিনিষেধে আরও বেশ কিছুটা শিথিলতা আনা হতে পারে বলেই আশাবাদী সকলে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-14-at-13.29.17-1024x683.jpeg)
সূত্রের খবর অনুসারে জানা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি চালানো হতে পারে সরকারি বাসগুলি। ইতিমধ্যেই সরকারি বাসগুলিতে কর্মরত কর্মচারীদের টিকাকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। যাতে আগামী দিনে গণপরিবহনের পরিষেবা দিতে গিয়ে কোনোভাবেই তাঁরা আক্রান্ত না হয়ে পড়েন। যদিও কার্যত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা আনা হলেও, আদৌ কোন বাস, ট্যাক্সি ও অন্যান্য যানবাহন চালানো হবে, কিনা সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আজই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই আশাবাদী সমস্ত নিত্যযাত্রীরা। তবে সরকারি বাস গুলি চালানো হলেও বেসরকারি বাস গুলো চলবে কিনা সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। কার্যত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এলেও পেট্রোপণ্যের দাম না কমলে অথবা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি না করলে বেসরকারি বাস গুলি না চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস সংগঠনের মালিকেরা।