‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেলেন শিল্পী নারায়ণ দেবনাথ। হাঁদাভোঁদা,নন্টে ফন্টে,বাঁটুল দি গ্রেট-এর শ্রষ্টা তিনিই। এছাড়াও অগুন্তি জনপ্রিয় কার্টুন শিল্পীর সুনিপুণ তুলির টানে প্রাণ পেয়েছিল । প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাককালে ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপকদের তালিকায় উঠে এল বিশিষ্ট কার্টুনিষ্ট সেই নারায়ণ দেবনাথের নাম।
শিল্পী নারায়ণ দেবনাথের পৈত্রিক ভিটে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের হলেও ১৯২৫ সালে হাওড়ার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নারায়ণ বাবুর পড়াশোনায় সেভাবে সাফল্য না পেলেও চিত্রশিল্পী হিসেবে দক্ষতা অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ভর্তি হন ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে। সেই থেকে শুরু তাঁর পথচলা। বাংলা ছায়াছবি বসন্ত বিলাপ, আশিতে আসিয়ো না, চারমূর্তি সহ একাধিক ছবিতে কার্টুনিষ্টের পাশাপাশি বাংলার শুকতারা পত্রিকায় সাফল্যের সঙ্গে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।
এছাড়াও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বাংলার একঝাঁক কৃতি ব্যক্তিত্বকে এই সম্মান দেওয়া হল। বাংলা থেকে ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্য ও সমাজসেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭ কৃতিকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন দেশ-বিদেশের আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
এবার বাংলা থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন টেবিল টেনিস তারকা মৌমা দাস। শিল্পকলা বিভাগে সম্মানিত হলেন নারায়ণ দেবনাথ, বীরেন কুমার বসাক। এবং সমাজ কল্যাণ ক্ষেত্র থেকে সম্মানিত গুরুমা কালী সোরেন। সাহিত্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে সম্মানিত ধর্মনারায়ন বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, জগদীশ চন্দ্র হালদার, এবার এই তিন সম্মানের তালিকায় ৮ জন বিদেশিও রয়েছেন।
পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের জন্য পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কর্ণাটকের ডা. বেল্লে মোনাপ্পা হেগড়ে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নারিন্দর সিং কাপানি।শিল্পের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হলেন ওড়িশার প্রখ্যাত শিল্পী সুদর্শন সাহ এবং আধ্যাত্মের জন্য সম্মানিত মৌলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান, নৃতত্ববিদ্যার জন্য সম্মান পেয়েছেন বি. বি. লাল।