বাজছে সানাই । আলোয় ঝলমল করছে বিয়ের আসর । অতিথি সমাগমে জমজমাট বিয়েবাড়ি । বাইরে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। না কোনো তারকার বিয়ে নয়। এ এক অন্য বিয়ে। অন্য এক ভালবাসার গল্প। পাত্র উত্তর ২৪ পরগনার। পাত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, পুস্প বৃষ্টির মধ্য দিয়ে এক হল চার হাত।
সুনিতার বাবা-মা দুজনেই এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিলেন। মাত্র তিন বছর বয়সেই বাবা-মাকে হারান সুনিতা। তারপর মেদিনীপুর থেকে সোজা সোনারপুরের এই হোম। সুনিতাও এইচআইভি আক্রান্ত। অন্যদিকে, সৌমিত্র ছোটবেলায় ডিপথেরিয়ার ইঞ্জেকশান নিতে গিয়ে সিরিঞ্জ থেকে এইচআইভি আক্রান্ত হন। দু’জনেই চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে মেডিক্যাল কলেজে যেতেন। আর সেখানেই তাঁদের পরিচয়। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আর সেই প্রেমই পরিণতি পেল পরিণয়ে।
রবিবার সন্ধ্যায় সোনারপুরের হোমে বসে বিয়ের আসর। চার মহিলা পুরোহিতের বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ এবং সেই মন্ত্রের ব্যাখ্যা। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে গোটা বিয়ের মঞ্চে একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এইচআইভি যে আর পাঁচটা সাধারণ রোগের মতোই, সঠিক চিকিৎসায় এই রোগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কার্যত সেই বার্তাই যেন দিলেন সোনারপুরের সুনিতা ও সৌমিত্র। আগামীদিনে, এইচআইভি পজিটিভদের নিয়ে কাজ করতে চান ওই যুবক। সকলের স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দিতে চান।