সামনেই প্রেম দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডে। বিশেষ দিনে বিশেষ মানুষের সঙ্গে ডেটে যাবেন, ঘুরবেন, আরও কত কী! কিন্তু ওই আলমারি খুলেই মন খারাপ, পছন্দের কোনও জামাই হচ্ছে না। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই ভুড়ি দেখে মন খারাপ করছেন। আর চিন্তা নেই। কী করলে ওজন কমাতে পারবেন, রইল তারই কিছু টিপস্।
শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— খুব সতর্ক হয়ে না করলে রোগা হওয়া সহজ নয়। ডায়েট করলেও শরীরচর্চার সময়ে আলসেমি ঘিরে ধরে অনেককেই। সকালে উঠে জিমে যাওয়ার কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে। আবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পর ব্যায়াম করতে ক্লান্ত লাগে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রোগা হওয়ার পর্বে শরীরচর্চায় জোর দেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে চাইলে সবচেয়ে কার্যকর হল, স্ট্রেংথ ট্রেনিং ব্যায়ামের সঙ্গে কার্ডিওর সংমিশ্রণ বেছে নিতে হবে। আসলে স্ট্রেংথ ট্রেনিং ব্যায়াম কেবল শরীরকে শক্তিশালী করে না, চর্বিহীন পেশি তৈরি করতেও সহায়তা করে। ফলে তা ওজন হ্রাসে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে কী করবেন
- প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- অল্প অল্প করে দৈনিক ৫ বার আহার করুন।
- প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণে ফল ও সবজি অবশ্যই থাকতে হবে।
- টিভি বা মোবাইল দেখতে দেখতে খাবেন না।
- ৩০ মিনিট হাঁটুন প্রতিদিন।
- বাটার ওয়েল ও ঘি খাবেন না।
- প্রচুর ক্যালসিয়াম খান ক্যালসিয়াম ক্ষুধাকে কমায়।
- জাঙ্ক ফুড একেবারেই নয়।
তবে মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে শরীরচর্চার কিছু বিকল্প কাজও রয়েছে। সেগুলি যদি করতে পারেন, তা হলে রোগা হওয়া কঠিন নয়।
- সময় মত খাবার খেতে হবে।মোটা হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল সময়ে খাবার না খাওয়া। একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
- অফিস, মেট্রো, শপিং মল— প্রায় সব জায়গাতেই সিঁড়ি ও লিফ্ট থাকে। এ সব জায়গায় লিফ্ট কিংবা এসক্যালেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
- দুই বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে কোথাও বেরোবেন ঠিক করেছেন, রোগা হওয়ার ইচ্ছা জন্ম নিলে কোথাও না বসে বরং হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। এতে শরীর আর মন দুটোই ভালো থাকে।
আসলে, ওজন কমানোর চটজলদি কোনও উপায় নেই। রোগা হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি একে একে পেরোতে হয়। আর তা করতে পারলেই কেল্লাফতে।