একে ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা ; তার ওপরে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়ে ছেলেখেলা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। দেশের রাষ্ট্রনেতা যেখানে চিৎকার করে বলে যাচ্ছেন, গণ টিকাকরণ এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র রাস্তা; সেখানেই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে দিনের-পর-দিন ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতি করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির খবর মানুষের মনে চিন্তা এবং ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই এবার সাধারণ মানুষকে দুশ্চিন্তার হাত থেকে বাঁচাতে কিছু নয়া পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে এলেন বিশেষজ্ঞরা ।
১) অ্যান্টিবডি টেস্ট :
টিকাকরণের অন্তত ২-৩ সপ্তাহ পর অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো যায়।এই পরীক্ষাটি করালে টিকাকরণ নিয়ে পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিন্ত হতে পারবে আমজনতা। এই টেস্টেই জানা যাবে শরীরে কোনো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। টিকাটি আসল হলে অ্যান্টিবডি টেস্টে অবশ্যই মিলবে শরীরের অ্যান্টিবডির প্রমাণ।
২) ফোনে রেজিস্ট্রেশনের ম্যাসেজ :
সরকারি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার নাম যদি টিকাকরনের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজ পাঠানো হবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে । তবে যান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক সময় এই মেসেজটি দেরিতে এসে পৌঁছয় । সেক্ষেত্রে সরকারি প্রক্রিয়া হলেও বেশ কিছুটা চিন্তা থেকে যাচ্ছে এখানেই।
৩) টিকা ভাওয়াল পরীক্ষা :
টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়ার আগে যাচাই করে নিতে হবে ভ্যাকসিনের ভাওয়াল ও তাঁর এক্সপাইরি ডেট। তবে এই নিখুঁত অনুসন্ধানের ওপর সরকারি নজর না পড়লে সাধারণের পক্ষে ভ্যাকসিনের সত্যতা বিচার করা হয়ে উঠবে খুবই দুষ্কর । এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত যে সাধারণ মানুষকে হতে হবে আরও সতর্ক ও কোনরকম সন্দেহ হলেই থানায় অভিযোগ দায়ের করার রাস্তা সর্বক্ষণ খোলা থাকবে।