বেসরকারি নার্সিংহোম এবং হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করার অভিযোগ অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির উপর চাপ বাড়াতে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে রয়েছে লাইসেন্স বাতিলের নিয়মও। স্বাস্থ্যমহলের অনেকের মতে, এই ভাবেই ঘুরিয়ে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করারই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে’র ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও যাতে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে না পড়তে হয়, সে জন্য প্রতিটি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে। এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড অবহেলা করছে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তো তাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।” চলতি কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অনেক নার্সিংহোমই রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে বলেই অভিযোগ। তাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরও।
একই সঙ্গে ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’-এর সুবিধা পেতে ব্যাঙ্ক বা সরকারের তরফে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। এছাড়াও এদিন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মণীশ জৈনের কাছে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান। মণীশ জানান “সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে স্টেট ও সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে শুরু করে। আরও দু’টি ব্যাঙ্ক পুজোর আগে চুক্তি করেছে। মাঝখানে মুখ্যসচিব চার বার ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে দু’টো বেসরকারি ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসেছে। যে দু’টো ব্যাঙ্কে সমস্যা হচ্ছে তারা নভেম্বর থেকে শুরু করবে বলে আশাবাদী।” এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাক। তাতে ব্যাঙ্কেরও ভাল হবে।” এছাড়াও এদিন তিনি আরও বলেন, “লক্ষ্ণীর ভান্ডারে আবেদন করতে পারেনি অনেকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে সেই সুবিধা কেউ পাবেন না, এটা ভুল। অন্য নথি ঠিক থাকলে তাঁরাও পাবেন।”