ভারতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধানের ব্যাপারে নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। এই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয় ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে নেওয়া যাবে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ। এখন ভারতের হাতে রয়েছে করোনার তিনটি ভ্যাকসিন। সেরামের কোভিশিল্ড, বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ার স্পুটনিক এই তিনটি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে ডিজিআই এর কাছে। স্পুটনিক’ ও কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হলেও কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ প্রথমে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজ্যগুলিতে। এবার সেই ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার কথা ঘোষণা করা হল। যদিও বাড়ানো হয়নি স্পুটনিক’ ও কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এর ব্যবধান। এর আগে অধিক কার্যকারিতার জন্য বাড়ানো হয়েছিল কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান। আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রগুলিতেও দাবি করা হয়েছে বেশি সময়ের ব্যবধানেই অধিক কার্যকরী হয় কোভিশিল্ড।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-13-at-14.24.23.jpeg)
অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের প্রযুক্তি অনুযায়ী এই দেশে কোভিশিল্ড তৈরি করেছে সেরাম। মাঝে কাঁচামালের সংকট দেখা দেওয়ায় টিকা তৈরিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল সেরামকে। বর্তমানে কাঁচামালের যোগান এলেও এখনক কাটেনি ভ্যাকসিনের সংকট। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরি করতে সেরামের সময় লাগবে জুলাই মাস অবধি এমনটাই জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা।