![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2022/12/IMG-20221213-WA0030-1024x569.jpg)
সিবিআই ও ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে বহুবার প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক দল। লালন শেখের মৃত্যুর পর এ ব্যাপারে আরও বেশি করে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল সরকার। এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আজ মেঘালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এত স্মার্ট সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে লালনের মৃত্যু হল? ওঁর স্ত্রী এফআইআর দায়ের করেছে। আমরা এই ইস্যু প্রকাশ্যে আনবই।’ রাজ্যের বিরোধীদেরও কান টানা হচ্ছে এ ব্যাপারে। এমনকি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ঘটনাটির সঠিক তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়েছেন। উলটোদিকে বিরোধীরা এই ঘটনায় আঙুল তুলছে সরকারের পুলিশ তথা তৃণমূলের দিকে। ঘটনার জেরে লালন শেখের পরিবার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2022/12/IMG-20221213-WA0029-1024x576.jpg)
ইতিমধ্যে রামপুরহাটে ক্যাম্প অফিসে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনেক ঝামেলার পর এসডিপিও ধীমান মিত্রর মধ্যস্থতায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে একজন সিবিআই আধিকারিক এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ানকে বেরোতে দিতে রাজি হন বিক্ষোভকারিরা। সিবিআই কনভয় বেরোনোর সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ করেছে তারা। এদিকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন লালনের স্ত্রী। তার দাবি, লালনের জিভ কাটা ছিল এবং পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। তাই ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসে গেলেও সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লালনের দেহ নিতে নারাজ তার পরিবার। ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বগটুই গ্রামের পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে আরও বেশি উত্তাপ জোগাচ্ছে লালন রহস্যমৃত্যু।
আরও পড়ুন