ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনের ফোঁটা। বছরভর দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন
ভাই-বোনরা। প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটার আয়োজন করে থাকেন। তবে এবছর কোভিড আবহে যাবতীয় বিধির কথা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান বাতিল করেন দলীয়নেত্রী। এই প্রথমবার তাঁর বাড়ির অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। যদিও যাকে ‘সচেতন এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলেই মনে করছেন দলের সকলে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-16-at-5.14.47-PM.jpeg)
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব মেনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়ির ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেও বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিন্তু দিব্যি অন্যান্যবারের মতোই ভাইফোঁটা নিয়েছেন। এদিন হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। রাজ্য সভাপতিকে ফোঁটা দেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল থেকে শুরু করে একাধিক কর্মীরা। রীতি মেনে ফোঁটা থেকে শুরু করে যাবতীয় নিয়ম পালন করেন প্রত্যেকে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-16-at-5.15.39-PM.jpeg)
এদিকে, ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল হলেও যেসব ভাইদের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবছর ফোঁটা দেন তাঁদের ঘরে পৌঁছে গেছে দিদি
-র উপহার। সকলকেই মমতা নিজে ফোন করে জানিয়েছেন, এবার সময়টা ‘অন্যরকম’। তাই বাধ্য হয়েই এ বার ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করতে হচ্ছে। প্রথমে সবার মন খারাপ হলেও উপহার পেয়ে সেই মন খারাপ ভালো হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন দিদি
-র ভাই
-রা। সেইসঙ্গে ফোনেই আর্শীবাদ চেয়েই ভাইফোঁটা উদযাপন করলেন প্রত্যেকে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-16-at-5.14.46-PM.jpeg)
ঠিক একবছর আগে মমতার বাড়ির কালীপুজোয় সস্ত্রীক পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটা নেওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। যদিও সেবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সময় দিয়ে উঠতে পারেননি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-16-at-5.15.41-PM.jpeg)
প্রতিবছরই ঘটা করে শত ব্যস্ততার মাঝেও বাড়িতে কালীপুজো ও ভাইফোঁটার আয়োজন করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবছর কোভিডের কারণে সবই যেন ফিকে। কালীপুজোতেও হাতে গোনা লোকের উপস্থিতি ছিল, অন্যদিকে, ভাইফোঁটা একেবারেই বাতিল করে দেন তিনি। তবে মনে করে ভাইদের উপহার পাঠাতে ভোলেননি ব্যস্ত দিদি
। আর উপহার পেয়েই দিদির হাত থেকে ফোঁটা নেওয়ার আনন্দ মাটি হলেও পুরোপুরি যে ফিকে হয়নি তাঁদের কথাতেই তা স্পষ্ট।