![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-26-at-17.33.43-1-1024x616.jpeg)
ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক চারটে বাজতে পাঁচ মিনিটে নিজে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। প্রতি বছর ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন ঘড়ি ধরে সাড়ে চারটেয়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ভাঙলেন নিজের তৈরি করা নিয়ম। মিত্র ইন্সটিটিউশানে ভোট দিতে ঢুকছেন যখন, ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট। দুপুরের রোদ পড়ে এসেছে। গোটা প্রকিয়াটা সারতে ছয় মিনিট সময় নিলেন তিনি। ভোট দিয়ে বেড়িয়ে এসে সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে জয়ের চিহ্ন দেখালেন দুই আঙুল তুলে।
এখনও পুরোপুরি সারেনি তাঁর পায়ের আঘাত। এখনো তাই চলাফেরা করতে হয় হুইল চেয়ারেই। কমিশনের তরফেও বিশেষ র্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল নিয়ম মেনেই। এই র্যাম্প প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা সুনিশ্চিত করার জন্য। দেহরক্ষীর সহোযগিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই র্যাম্পে উঠেই ইভিএম-এর বোতাম টেপেন।মমতা এবার শুধুই এই কেন্দ্রের ভোটার।প্রার্থী নন। তিনি এবার প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকে। আর এই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী তাঁর একান্ত অনুগত রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ, যিনি ভোটের মুখে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
একুশের এই ভোটের ফলাফল কী হতে চলেছে জানা নেই কারোরই। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপাতত এটাই শেষ ভোট তাঁর?
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-26-at-17.33.44.jpeg)