শুক্রবার বিধান সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দু অধীকারীর সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ নিয়ে টিপ্পনি করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কারও সঙ্গে কারুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। বিধানসভা একটি সৌজন্যের জায়গা। সাংবিধানিক ব্যবস্থা। এখানে সবাই বসে একসঙ্গে কথা বলে। এতে আমার অন্যায় কিছু মনে হয়নি। আমি নিজেও বিরোধী দলের সঙ্গে সৌজন্য রেখেছি। তবে যে প্রস্তাব উনি দিয়েছেন, ‘চলুন যাই সবাই মিলে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসি’, তাতে আমার আপত্তি আছে। আমরা দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসব আর সেই টাকায় তিনি মৌজ মস্তি করবেন, আর তার লোকেদের পুষবেন, এটা হতে পারেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারীর প্রণাম করার বিষয়ে তিনি বলেন, ওনাদের পুরনো সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসে। উনি ওখানে করেছেন।
এদিন দিলীপ আরও বলেন যে, ‘এটা একটা ব্যক্তিগত বিষয়। যা হয়েছে সব মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই হয়েছে। তাঁর ইচ্ছে ছাড়া রাজ্যে গাছের পাতাও নড়েনা। রাজ্যের এমপি, মন্ত্রীরা ওনার ইচ্ছে ছাড়া প্রস্রাব, পায়খানাও করেন না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন, উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা খুব মুশকিল। ওপর থেকে সিগন্যাল এসেছে, তাই নীচের তলার লোকেদের ইডি, সিবিআই ডাকছে।‘ অনুব্রতকে সামনে রেখে তিনি তৃনমূল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ বীরভূমে অনুব্রত নেই। উনি হাজার-হাজার অনুব্রত তৈরী করতে চাইছেন। জেলায়-জেলায় ডন তৈরির কারিগর তৃনমূল’।
আরও পড়ুন