গত ১০ দিন ধরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছারখার হচ্ছে। দক্ষিণ ইউরোপের একাধিক দেশ দাবানলের আগুন জ্বলছে। ইউরোপ মহাদেশের তুরস্ক থেকে শুরু করে গ্রীস পর্যন্ত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই দাবানলে রোষানলে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন দমকলকর্মী। এবং দাবানলের ফলে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু মানুষ। গ্রিসে চলছে ভয়াবহ দাবদাহ।সূত্রের খবর অনুসারে জানা যাচ্ছে, গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল ছড়িয়েছে তুরস্ক এবং গ্রিসে। গত শনিবার রাত থেকে এই দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছে ১৫৪টি দাবানল। এখনো পর্যন্ত ৬৪টি দাবানল কে নেভানোর চেষ্টা রয়েছে গ্রীস। বহু মানুষ বাসস্থান হারিয়েছে এবং খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলিতে।

দাবানল সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলি থেকে বহু মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভয়াবহ দাবদাহের জেরে বর্তমানে গ্রিসের তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা ৩৪ বছরে সর্বোচ্চ। গ্রীসের দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার, বিমান। ইতিমধ্যেই 300 দমকল বাহিনী ফায়ার ট্রাক দশটি বিমান একসাথে জোট বেঁধে কাজ করেও আগুন নেভাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্ধার কাজে নেমেছে সে দেশের সেনাবাহিনী।সূত্রের খবর সর্বপ্রথম ইটালির সিসিলিতে প্রথম দাবানলের সূত্রপাত। ইতালির সিসিলি অঞ্চল থেকেই ইউরোপের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। ইউরোপ মহাদেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি কাটিয়ে এসে দেশের মানুষ কবে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করতে পারবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।