কৃষক বিক্ষোভে যখন ফুঁসছে রাজধানী, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উঠে এল সেই কৃষকদের কথাই। তবে এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার যে এই কৃষি আইনের বদলের পক্ষে নয় তার প্রমাণ মিলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র এদিনের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ৷ এদিন নয়া কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি আইন কৃষকদের ভালোর জন্যই। কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলেছে কৃষি সংস্কার।’
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-29-at-5.33.08-PM-1024x768.jpeg)
রবিবার কৃষকদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, কৃষি আইন কৃষকদের উপকারের জন্যই। উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন সেই কৃষি আইনের ভালো দিক। ‘কৃষকদের দাবি মেনেই তৈরি নয়া কৃষি আইন। অনেক আলোচনার পর কৃষকদের দিকটি খতিয়ে দেখেই এই আইনের সংস্কার করা হয়েছে৷’
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-29-at-5.33.10-PM.jpeg)
অন্যদিকে বলে রাখি শর্তসাপেক্ষে বৈঠকে বসতে নারাজ বলে রবিবার সরকারিভাবে জানিয়ে দিল ৩০ টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। কেন্দ্রের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে হরিয়ানা-দিল্লির সিংঘু সীমান্তে বৈঠকে বসে কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লি চলো
বিক্ষোভের জন্য আপাতত পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা সেখানেই জমায়েত করেছেন। সেই বৈঠকের পরই যন্তর মন্তরের পরিবর্তে নয়াদিল্লি বুরারির মাঠে বিক্ষোভ প্রদর্শনের শর্তে কেন্দ্র যে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছে, তা সর্বসম্মতভাবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সিংঘুপুরের সভাপতি জগজিৎ সিং ডালেওয়াল।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/11/WhatsApp-Image-2020-11-29-at-5.33.11-PM.jpeg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭১তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে ভাষণের শেষের দিকে ঋষি অরবিন্দকে নিয়েও চর্চা করলেন তিনি। মোদি বলেন আগামী ৫ ডিসেম্বর অরবিন্দর ৭০তম জন্ম বার্ষিকী। আর এই ঋষির জীবন আর আদর্শ আধুনিক ভারতেও প্রাসঙ্গিক। অরবিন্দর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বাংলায় একটি প্রচলিত কবিতাও পড়েন।যার সারকথা ছুঁচ থেকে দেশলাই– সব কিছুই বিদেশ থেকে আসে। কিন্তু সব জিনিস, দেশে উৎপাদনের মাধ্যমেই আসবে প্রকৃত স্বাধীনতা।
এদিন গুরু নানকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুরু নানকের দেখানো পথে এখনও এগিয়ে চলেছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। গুরু নানক লঙ্গর প্রথা চালু করেছিলেন। সেই প্রথা অবলম্বন করে এই করোনা মহামারির সময়ও লক্ষ লক্ষ অভুক্ত মানুষকে খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন তাঁরা। আগামিকাল গুরু নানকের জন্মদিনে দেশের মানুষ তাঁকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।