একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির চোখ বঙ্গের উপর। তাই বঙ্গবাসীর মনে জায়গা করে নিতে গেলে পৌঁছতে হবে বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির জায়গায়। তাই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী কে “পরাক্রম দিবস” ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। এখন থেকে প্রতিবছরই ২৩ শে জানুয়ারি দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালিত হবে বলেই জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যদিও ওই সকল কর্মসূচির একটি বিশেষ উদ্দেশ্য আছে বলেই বিবেচনা করছেন বিশিষ্ট মহল।

একুশের ভোটে বঙ্গে পদ্মফুল ফোটাবার প্রচেষ্টাতেই গেরুয়া শিবির । তাই নেতাজির জন্ম জয়ন্তী কে পরাক্রম দিবস ঘোষণা করে বঙ্গবাসীর মনে জায়গা করে নিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গেরুয়া শিবিরের নেতারা। নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছরভর নেতাজি শ্মরণে দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের।

একদিকে বঙ্গের মাটিতে পদ্ম ফুল ফোটানোর আশায় বঙ্গ বিজেপির নেতারা সহ কেন্দ্রীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী মহল যেমন তৎপর নেতাজি জয়ন্তী কে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার, ঠিক তেমনি বঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন আগেই আর্জি পেশ করেছিলেন যাতে নেতাজি জয়ন্তী কে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয় । পাশাপাশি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তীকে “দেশনায়ক দিবস” হিসেবে পালন করার কথা পূর্বেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।