সকালে ছেলে দাবি করলেন, বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। রাতে বাবা টিভি চ্যানেলকে ফোনে জানালেন, তাঁর সঙ্গে ছেলের আগেই কথা হয়েছিল। কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবেন, সেটা এখনও ঠিক করেননি! তবে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ছেলের যে বিজেপি করা উচিত, সেই পরামর্শও দিয়ে রাখলেন টিভি চ্যানেল মারফত!
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/mukul_roy_BJP_FB.jpeg)
বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুকুল ফের বিজেপিতে যাবেন কি না, সেই জল্পনা ভেসেই থাকল। কারণ, দিল্লি থেকে মঙ্গলবার রাতে মুকুল নিজেই বলেছেন, “শরীর ভাল ছিল না বলে কিছু দিন পুরো মাত্রায় রাজনীতি করতে পারিনি। এখন শরীরটা সুস্থ হয়েছে। অমিত শাহজি, জে পি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলব। বিজেপি করব কি না, এখনও ঠিক করিনি। সে রকম হলে বিজেপি করব আবার।” একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সহায়তায় দিল্লিতে থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের হোটেলে পৌঁছয় বিধাননগর কমিশনারেটের টিম। টিমের আধিকারিকেরা কথা বলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। বিধাননগরের পুলিশ টিমকে নিজে এই কথা জানিয়েছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের বক্তব্য শোনার পর হোটেল থেকে ফিরে যায় বিধাননগর পুলিশের টিম। সোমবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জল্পনা উসকে ওঠে রাজনৈতিক মহলে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণেই কি দিল্লিতে মুকুল রায়? নাকি এর পিছনে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক কারণ? ফের বিজেপি শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি? সবমিলিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। গোটা বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা।
তবে শুভ্রাংশু রায় এর কাছে কোন খবর ছিল না এই বিষয়ে। মুকুল রায় নিখোঁজ হওয়ার পরই ফোন করে উদ্বিগ্ন শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল পুত্র জানিয়েছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ফোন করেছিলেন। বাবার খবর নিয়েছিলেন।’ শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, মুকুল রায় আগের সেই মুকুল রায় নেই! মুকুল রায় অসুস্থ, তাই বাবাকে নিয়ে এসে আগে চিকিৎসা করাতে হবে। তারপর কোন দলে গেল তার বিচার হবে।