রাহুলের সাংসদপদ বাতিলের জেরে আজ দিনভর কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ আন্দোলন চলছে। দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রাজঘাটে বিক্ষোভ মঞ্চে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা কর, আমাকে জেলে ভরো, কিন্তু সত্য হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী একজন কাপুরুষ। ক্ষমতার আড়ালে মুখ লুকিয়ে রয়েছেন। অহঙ্কারে পরিপূর্ণ। আর অহঙ্কারী রাজাকে মুখের মতো জবাব দেওয়া এই দেশের বরাবরের সংস্কৃতি। এক শহীদ প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যিনি জাতীয় ঐক্যের জন্য হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটেছেন তিনি কখনই দেশকে অপমান করতে পারেন না।”

এদিন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ বাতিলের বিরুদ্ধে দিনভর সত্যাগ্রহ আন্দোলনে পথে নেমেছেন। যদিও দিল্লি পুলিশ তাদের রাজঘাটে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তা উপেক্ষা করেই চলছে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে খড়গে বলেন, “এই সত্যাগ্রহ শুধু আজকের জন্য কিন্তু এই ধরনের সত্যাগ্রহ সারা দেশে করা হবে। রাহুল গান্ধী সাধারণ মানুষের জন্য লড়ছেন। কর্ণাটকে মানহানির মামলা করার ক্ষমতা বিজেপির ছিল না।”
১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে রাজঘাটে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি বলে পুলিশের দাবি। যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, এর আগে এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে অনুমতি না মিললেও রাজঘাটে সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ হবে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়। সেই মত সকাল থেকেই ভিড় জমান কংগ্রেসকর্মীরা। এই ইস্যুতে প্রতিবাদে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও দলের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। তিনি লেখেন, “সংসদে আমাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার পর, সরকার আমাদের বাপুর সমাধিতেও শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ করতে দিতে অস্বীকার করেছে। বিরোধীদের প্রতিবাদে বাধা দেওয়া মোদি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।”