মহাষষ্ঠীর দিন একেবারে বাঙালী সাজে, খাদির ধুতি পাজামা পড়ে ঝরঝরে বাংলায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সল্টলেকের ইজেডসিসি ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন করেন। দুর্গাপুজোর এই শুভক্ষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ”উমা এলো ঘরে। বাংলার এই সনাতন পরম্পরা রয়েছে।” তিনি বাংলাতেই জানিয়ে দিলেন, প্রতিটি নারীকে মায়ের রুপে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। ঝরঝরে বাংলায় তিনি বলেন, ‘মা দুর্গার আর্শীবাদে গোটা দেশ আজ বাংলাময়’। ভোটের আগে মোদির শুভেচ্ছা ভাষণকে অনেকেই ২১-র ভোটে ঢাকে কাঠি বলেই মন্তব্য করছেন। দেবীপক্ষে নারী সুরক্ষায় জোর দেন তিনি। এদিন মোদি দাবি করেন, নারী সুরক্ষায় সরকার যথেষ্ট তত্পর। তাঁর বক্তৃতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল বাংলা ভাষার আধিক্য। এদিন রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে বাংলায় কবিতাও বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা এত মিষ্টি যে তা না বলে থাকতে পারলেন না তিনি। বাংলা উচ্চারণে তাঁর যে খামতি ছিল স্বীকার করে নিয়ে কৌশলে ক্ষমাও চান প্রধানমন্ত্রী। বাংলার পবিত্রভূমিকে প্রণাম জানিয়ে মোদি দেশবাসীকে দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কৃষক থেকে শ্রমিক সবাইকে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দেন। তাঁর বক্তৃতায় এদিন উঠে আসে বাংলার রবীন্দ্রনাথ, শরত্চন্দ্র, রাজা রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্র, ঋষি অরবিন্দ, মাতঙ্গিনী হাজরা। স্মৃতিচারণ করেন ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশের মত বিপ্লবীদের। এমনকী শিল্পের জগতে উত্তম কুমার, সত্যজিত রায়, সুচিত্রা সেনের মতো বিখ্যাত বাঙালির অবদানের কথাও স্বীকার করলেন তিনি। তবে উৎসবের মাঝেও করোনা যে চলে যায়নি তা একবার দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন, মাস্ক পড়ুন’।
