প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান । মাত্র ৫৫ বছর বয়সে থেমে গেল তাঁর জীবনপ্রদীপ। মঙ্গলবার বেলা ৩.৪৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রশিদ। ২২ নভেম্বর থেকে ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নামে সঙ্গীত জগতে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2024/01/IMG-20240109-WA0032.jpg)
প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সংগীতশিল্পী। ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছিল বলেই খবর। তবে এদিন সকালে হঠাৎই শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এরপর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয় তাঁকে। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিতরে গিয়ে শিল্পীর খোঁজ নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের বাইরে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমাকে মা বলে ডাকত। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না ওহ আর নেই। খুব ভালো সম্পর্ক ছিল আমাদের। রশিদ আমার ভাইয়ের মতো। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরে যাওয়ার পর ফোন এসেছিল। নবান্নে ফিরে খবর আসে, কিছু একটা হয়েছে। ছুটে আসি। ওর ছেলে এখন আমার পাশে রয়েছে। সেও খুব ভালো গান করে।