আজ বিকেলে আচমকাই রাজভবনে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । টানা এক ঘন্টা ধরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে চললো বৈঠক । আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে বিকেল ৫টা নাগাদ হঠাত করেই উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ঘন্টা ধরে চলে বৈঠক। তাই ঘিরে কৌতুহল বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। সন্ধ্যে ৬.২৫ নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখেননি তিনি।

আজ তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দেন রাজ্যপাল । সেখানে সাংবাদিকদের সম্মুখে তিনি বলেন, ২০২১-এ মানুষ যেন ভালো ভাবে এগোয় । আজ কোলাঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ মন্তব্য করেন । মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছেন না এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যপাল। বহিরাগত তকমা, আম্ফান এবং করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল । তাঁর কথায়, ভারতের কেউ বহিরাগত নয়, এমন কথা সংবিধানকে আঘাত করেছে । আম্ফান প্রসঙ্গে রাজ্যের কাছে আগে থেকেই পূর্বাভাষ থাকা সত্বেও রাজ্য কোনরকম পদক্ষেপ না নেওয়ায় সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । এছাড়াও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের কৃষকদের অবস্থার উন্নতির জন্য নেওয়া পদক্ষেপেও বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার এমনটাও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। আর তার পরেই কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া এই সাক্ষাত রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে । এখন প্রশ্ন- এই সাক্ষাত কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাত, নাকি সরকার বিরুদ্ধ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দিদি আর সেই জন্যেই সরাসরি সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত ?