করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলি চাপ মুক্তি ঘটাচ্ছে এই -ক্লিনিকগুলি। জানা যাচ্ছে বর্তমানে, হাসপাতালে উপর ক্রমবর্দ্ধমান চাপ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ই-ক্লিনিকগুলি খোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে গত ১৫ দিনে মোট ২০০০ টি ই-ক্লিনিকের মাধ্যমে, মোট ১ লক্ষ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে মূল হাসপাতাল গুলোর উপর বেশ খানিকটা চাপ কমানো সম্ভব হয়েছে। ই-ক্লিনিকগুলি রোগীদের রেফারেল সিস্টেমকে প্রাথমিক থেকে তৃতীয় এবং সুপার স্পেশালিটি সুবিধাগুলিকেও পদ্ধতিগত করেছে ইতিমধ্যেই। জানা যাচ্ছে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রেও, টেলিমেডিসিন পদ্ধতি সাফল্যের ইঙ্গিত করে। বিভিন্ন গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ইতিমধ্যেই ই-ক্লিনিকে পরিণত করে উন্নত মানের ভিডিও কলিংয়ের দ্বারা রোগী এবং ডাক্তারের কথা বলিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকরা বিভিন্ন প্রান্তের রোগীদের চিকিৎসা করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ ধরে নেওয়া যেতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা করার জন্য সেই অঞ্চলে কোন ডাক্তার প্রস্তুত নেয়। এমনকি তারা প্রত্যেকেই যদি হাসপাতালের চিকিৎসারত রোগীদের চিকিৎসা করেও থাকেন। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ বা উত্তর ২৪ পরগনায় বসে থাকা যে কোনও ফাঁকা ডাক্তার ওই রোগীর চিকিৎসা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যদি সঠিক সময়ে রোগীর চিকিৎসা হয়, পরবর্তীতে এলাকায় উপস্থিত ডাক্তার সেই রোগের সুরাহা করতে পারবেন খুব সহজেই।