গত কয়েক মাসে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পেট্রোপন্যের দাম যার জেরে মাথায় হাত সাধারণ মধ্যবিত্তের। এই ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির ফলে কমছে চাহিদা, বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে দেশের অর্থনীতিও। এই প্রসঙ্গে মোদি সরকারকে বিঁধতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। এই সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে ছোট্ট একটি সিদ্ধান্তে। কি অবিশ্বাস মনে হচ্ছে তো? কিন্তু এটাই সত্যি! পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির (GST) আওতায় আনলেই ১০১ টাকা লিটারের পেট্রল মিলতে পারে মাত্র ৭৫ টাকায়। আর এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে জিএসটি কাউন্সিলের উপর। এক সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, দেশের ৭৭% সাধারণ নাগরিক এই মুহূর্তে পেট্রোল ডিজেলের জিএসটিকরণ চাইছেন।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/IMG-20210916-WA0045-1024x557.jpg)
হিসেব অনুযায়ী এই দুই পেট্রোপণ্যের উপর চড়া কর বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই। কেন্দ্রের তরফে পেট্রোলে লিটারপ্রতি ৩২ শতাংশ কর ও রাজ্য ২৩.০ শতাংশ কর বসায়। আবার ডিজেলের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যথাক্রমে ৩৫ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ কর বসায়। এই দুই পেট্রোপণ্য জিএসটি-র আওতায় এলে বড়জোর ২৮ শতাংশ কর বসতে পারে। যার জেরে একধাক্কায় পেট্রোলের দাম হতে পারে ৭৫ টাকা লিটার ও ডিজেলের দাম হতে পারে লিটারপ্রতি ৬৮ টাকা।
শুক্রবারই জিএসটি কাউন্সিল পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে। কাউন্সিলকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কথা বলেছিল আদালতও। আসলে পেট্রোপণ্য জিএসটির আওতায় এলে কর নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিছুদিন আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এবার পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে জিএসটি কাউন্সিলের রাজ্য প্রতিনিধিরা। তার অন্যতম কারণ এমনিতেই পেট্রোপণ্যে রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি কর পায় কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে জিএসটির আওতায় এলে রাজ্যের লভ্যাংশ আরও কমে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে শুক্রবারই। মধ্যবিত্তরা কি এবার হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারবেন তা বলবে সময়ই।