করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতেই ট্রেনভ্রমনকারীদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলত, ভারতীয় রেলের তরফে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, টিকিট বুকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ৩৬ জোড়া ট্রেন চালু করা হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতীয় রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সাথে সাথে, সারা দেশে প্রচুর লোকেরা ট্রেনের টিকিট বুক করছে। বুকিংয়ের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় দেখে রেল অতিরিক্ত কোচ দিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের খবর, এই অতিরিক্ত ট্রেনগুলি পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, আসাম, মহারাষ্ট্র , কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে। রেলের তরফে জানা গিয়েছে যে, যোধপুর-দিল্লি সারাই, রোহিল্লা-যোধপুর, যোধপুর-বান্দ্রা , ভিওয়ানি-কানপুর, বিকানির-দিল্লি সারাই, দিল্লি সারাই-উদয়পুর সিটি এবং উদয়পুর সিটি-কামাখ্যা ট্রেনগুলিও অতিরিক্ত কোচ দিয়ে চলবে। এছাড়াও, উদয়পুর সিটি-শালিমার, উদয়পুর-জয়পুর, আজমির-বান্দ্রা টার্মিনাস, মাদার-কলকাতা, জয়পুর-ভোপাল, জয়পুর-গোমতী নগর (লখনউ) পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এছাড়া কলকাতা-বিকানির,পুরী-বিকানির, বিকানির-বান্দ্রা টার্মিনাস, দাদর-বিকানির, শ্রীগঙ্গানগর-বান্দ্রা টার্মিনাস, হিসার-কোয়েম্বাটোর, শ্রীগঙ্গানগর-নান্দেদ, বারাণসী-যোধপুর, অমৃতসর-আজমের এবং দৌলতপুর চক-জয়পুর সহ আরও কয়েকটি ট্রেন অতিরিক্ত কোচ নিয়ে ছুটবে বলেই জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক।
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে যে, ট্রেনগুলি দ্বিতীয় শ্রেণীর স্লিপার কোচ এবং এসি অতিরিক্ত কোচ সহ চলবে। সমস্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর স্লিপার বা এসি কোচ অর্থাৎ অতিরিক্ত সব কোচ সংরক্ষিত থাকবে বলেই সূত্রের খবর। ডিসেম্বর ২ তারিখ থেকে জানুয়ারী ৫ তারিখ পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে।