রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হেরিটেজ ভবন ভেঙ্গে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় বানানোর অভিযোগ ওঠে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। সেই মামলার শুনানির সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল।
ঘটনার সূত্রপাত- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে যে ঘরে প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম দেখা হয়েছিল সেই ঘরটি ভেঙ্গে তৈরি করা হয় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ‘তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামক সংগঠনের অফিস। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে এই ঘটনার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। কারণ, এটি অন্যতম হেরিটেজ৷ তারপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ক্যাম্পাসের সেই ঘরে রবি ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিয়ে টাঙানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় হাইকোর্টের বিচারপতির কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠাকুরবাড়ি ক্যাম্পাসে গজিয়ে ওঠা তৃণমূল দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। বিচারপতিরা কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে দলীয় কার্যালয়টি ভেঙে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন