কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক চলে এসেছে। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে ফের উঠলো বিতর্ক। নির্দেশিকায় জারি হয়েছে টিকা নিতে গেলে সই করতে হবে সম্মতি পত্রে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়ার আগে আবশ্যিক ভাবে টিকা গ্রহণকারীর সম্মতিপত্রে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। পাশাপাশি যারা টিকা নিচ্ছেন তাদের ওপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে ৩ মাস নজরদারি চালাতে হবে।
বিতর্কে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোভ্যাক্সিন কার্যকারিতা নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে কতটা সুরক্ষিত কোভ্যাক্সিন ? যদি টিকা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত না হয় তাহলে কেন এত তাড়াতাড়ি অনুমোদন দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ভারত বায়োটেকের কাছে ৫৫ লাখ কোভ্যাক্সিনের ডোজ অর্ডার করেছে। প্রসঙ্গত, সরকার জানিয়েছে দিয়েছে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নেওয়ার পর কারও শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভারত বায়োটেককেই ।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার কোভ্যাক্সিন-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করছে কোভ্যাক্সিন৷ তাও ক্লিনিক্যালি এই টিকার কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত হয়নি৷ এখনও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অনুমোদন ফর্মে বলা হয়েছে, “টিকা গ্রহণের অর্থ কখনোই এটা নয় যে, অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।”