\করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে সারাবিশ্ব নাজেহাল।পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও করোনা সংক্রমনের দাবদাহ প্রচন্ড আকার নিতে শুরু করেছে।গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে এই রাজ্যেই। পাশাপাশি সংক্রমণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ভ্যাকসিনেশনের দৈনিক সংখ্যা না বাড়ালেই নয়। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেন্দ্র সরকার, তার উপরে করোনার টিকার আকাল লাগতে পারে মহারাষ্ট্রে , বলেই খবর পাঠিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ বলেছেন, মুম্বই সহ একাধিক জায়গায় স্টক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ইতিমধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সে সোমবার রাজেশ টোপ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের মধ্যে কথা হয়েছে।
রাজেশ টোপ বলেন “রাজ্যে আর তিনদিনের মতো ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা কেন্দ্রকে আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছি। রাজ্যে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মুম্বইয়েও ভ্যাকসিনের মাত্র তিন দিনের স্টক রয়েছে। আজ ১৪ লক্ষ ডোজ রয়েছে। যার মানে এই দিয়ে আর তিন দিন চালানো সম্ভব। প্রতি সপ্তাহে আমাদের ৪০ লক্ষ ডোজ প্রয়োজন হয় যাতে প্রতিদিন আমরা ৫ লক্ষ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন “আমাদের বেশিরভাগ ভ্যাকসিন সেন্টারে কোনও ডোজ নেই। সেগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ডোজ না থাকার কারণে মানুষকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। আপনাকে অনুরোধ করছি আমাদের আরও ভ্যাকসিন পাঠান।” করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্র, দৈনিক সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে আরও বেশকিছু রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এটাই দেশে অতিমারী ছড়ানোর পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।