আজ আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস। সেই উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হল ভাষা দিবস। এদিন পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টের বাংলাদেশ লাইব্রেরী থেকে একটা প্রভাত ফেরির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ হাই কমিশনার অন্দলিপ ইলিয়াসের নেতৃত্বে শহর একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এদিন ভারত – বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির পক্ষ থেকে ভাষা শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। কলকাতায় এই প্রথম ভাষা শহিদ দিবস উদযাপন করে আপ্লুত হাই কমিশনার অন্দালিপ ইলিয়াস।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/02/IMG-20230221-WA0001-1024x448.jpg)
একুশে ফেব্রুয়ারি মানে জাতীয় জীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম শ্রদ্ধা ও আবেগের বিষয়। এটা সার্বভৌম সত্য ও প্রতিষ্ঠিত। ভাষার অধিকারের আন্দোলন ও সাফল্যের সঙ্গে বীরের রক্ত আর মায়ের অশ্রু, দেশবাসীর ভালোবাসা আর চৈতন্য, সংগ্রামশীলতা আর কষ্টস্বীকার মিশে আছে। প্রথমে ভাষার অধিকারের দাবিতে ছাত্র ও জনতার মৃদু প্রতিবাদের মধ্য দিয়েই আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমশ সারা পূর্ববাংলায় ছড়িয়ে পড়ে ভাষার জন্য লড়াই ও সংগ্রামের গল্প। সেই গল্পের নেপথ্য ও সামনের সারির যোদ্ধা হলেন ভাষাশহিদেরা। প্রভাতফেরিতে অংশ নেওয়া ও শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া মানে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো।
একুশে ফেব্রুয়ারি এক অবিস্মরণীয় দিন, সারা পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক বিস্ময়কর ঘটনা। জাতিগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে, জনতার গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য পৃথিবীব্যাপী মানুষের যুগ যুগ ধরে যে সংগ্রাম ও লড়াই, একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন তাতে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রার চেতনা ও বিস্ময়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বাঙালিদের ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। ১৮৮টি দেশ এই বিষয়টিকে সমর্থন জানালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস গৃহীত হয়। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাব আনে বাংলাদেশ, যা সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়।