দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারমধ্যে আরও একবার কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী মান্না দের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে, বাংলা ও বাঙালির সঙ্গীত চর্চা এবং সঙ্গীত পিপাসু মনোভাবকে আরও একবার জাগ্রত করে শিল্পীকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করছে বাঙালি সমাজ। কিংবদন্তি মান্নাদের জন্মদিনে তাঁকে আরও একবার ফিরে দেখলেন বর্তমানের সঙ্গীত শিল্পীরা। বাঙালি আর মহানগরীবাসি হলে যদি শিয়ালদা হয়ে কলেজ স্ট্রিটের দিকে যাওয়া পরে তাহলে কফি হাউজের দিকে তাকালেই কোথাও একবার সাবকনসাস মাইন্ড চলে যায় মান্নাদের সেই পুরনো গানের লিরিক্স, “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা “তেই।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/Manna-dey.jpg)
আচ্ছা বলুনতো এই পরিচিত কিংবদন্তি বাঙালি গায়ক আসলে কে? হ্যাঁ, মান্না দে !সেতো বুঝলাম । তবে আসল নামটা? বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীরা ছাড়া হয়তো খুব কম বাঙালি মান্না দের আসল নামটা বলতে পারবেন। এই গায়কের আসল নামটি হল প্রবোধ চন্দ্র দে। নিজের মেধা এবং প্রতিভার জোরে তিনি এক এবং অদ্বিতীয় মান্নাদে হয়ে উঠেছেন। তবে কেবল মাত্র সংগীতশিল্পী বললে ভুল হবে তিনি একজন সুরকারও বটে।
হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সংগীত চর্চা করেছিলেন।বৈচিত্র্যের বিচারে তাঁকেই ভারতীয় গানের ভুবনে সবর্কালের অন্যতম সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ সংগীত বোদ্ধা।মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, মুকেশের মতো তিনিও ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সংগীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। সংগীত ভুবনে তাঁর এই অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করে। ২০১৯ সালে মান্নাদের জন্মের শতবর্ষ উদযাপনের গোটা মহানগরীর জুড়ে প্রায় ১০০ টিরও বেশি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তবে গত দু’বছরের করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত বিষয়টি ভার্চুয়াল মাধ্যমের মধ্যে দিয়েই করতে হচ্ছে । তবে আজও বাঙালির অন্তরে মান্না দে চির অমর হয়ে রয়েছেন।