আমেরিকায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দা এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন আমেরিকার গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অবিলম্বে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা না হলে আগামী ১-২ বছরেই ফের আমেরিকার মাটিতে হামলা চালাতে পারে ওসামা বিন লাদেনের উত্তরসূরিরা। পুনরাবৃত্তি হতে পারে ৯/১১ সন্ত্রাসের।
তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করেই নাশকতা সৃষ্টির ছক কষছে জঙ্গিরা এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ার। এই বিষয়ে মঙ্গলবার একটি আলোচনাসভায় তিনি বলেন,”আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আঁচ করতে পারি, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যেই আমাদের দেশে ফের হামলা চালানোর মতো পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারে আল কায়দা।” এই অবস্থায় জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ফের আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটিও এখনই বাদ দিতে চান না তারা। তাঁর মতে, “বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। আমাদের আরও সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।”
বিগত মাসেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তিনি বলেছিলেন, “আফগানিস্তানে আর আল কায়দা নেই। ওখানে এখন আর সেনা রেখে কী হবে? আমরা ওখানে সেনা পাঠিয়েছিলাম মূলত আল কায়দা এবং ওসামা বিন লাদেনকে খতম করতে। আমাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।” কিন্তু তার ঠিক কয়েক ঘন্টা পরেই বাইডেনের বক্তব্যকে ভুল প্রমাণিত করে পেন্টাগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, আফগানিস্তানে এখনও সক্রিয় আল কায়দা এবং আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী। এবার সেই কথায় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে আগাম বিপদের ‘পূর্বাভাস’ও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুদিন আগেই ৯/১১-র ঘটনায় শহীদদের স্মরণে বানানো টাওয়ারে স্প্রে পেইন্ট দিয়ে তালিবান লেখা আছে এমনটাই দেখা যায়। যার জেরে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে তুমুল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে গত শনিবার ৯/১১ সন্ত্রাসের ২০তম বর্ষপূর্তিতে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিয়ো-বক্তৃতা প্রকাশ করে বলেন, “দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর আমেরিকা পরাস্ত হয়েছে। আফগানিস্তান ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে চলে গিয়েছে।” এই ঘটনা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাইডেন সরকারের। এই ব্যাপারে বাইডেন সরকার কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেই দিকেই আপাতত দৃষ্টি গোটা বিশ্বের।