শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট আসন্ন নবান্ন অভিযান নিয়ে কোন হস্তক্ষেপ করলো না। প্রস্তাবিত নবান্ন অভিযানে বিধি-নিষেধ আরোপ করার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। চার সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। বিধি-নিষেধ আরোপ চেয়ে মামলা করেন এক আইনজীবী।
আগামী ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফেও এ নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম একটি কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। অথচ পুলিশের কাছে এরকম কিছু তথ্য নেই। কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবারই আরজি কর সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এই নবান্ন অভিযান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে এসওপি দেওয়ার কথা বলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ‘আমরা এ বিষয়ে কেন বলব? আইন তার নিজের মত চলবে।’ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আদালত। তবে নির্বিচারে গ্রেফতারও চলবে না, তাও জানিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ছাত্র সমাজের ডাকে ‘নবান্ন চলো’ অভিযানে এখনই হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই অভিযান নিয়ে গাইডলাইন তৈরির প্রশ্নে মামলার সব পক্ষকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা যায়।