শুভেন্দুকে পাশে পেয়ে মেদিনীপুরের জনসভা থেকে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অমিতের কটাক্ষ মন্তব্য, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই আপনি একা তৃণমূলে থাকবেন।’’ এদিন ফের ভাইপো ইস্যুতে অভিষেককে নাম না করে তোপ দাগেন শাহ। তিনি বলেন, মা মাটি মানুষের সরকার এখন তোলাবাজি, ভাইপোবাদ, স্বজনপোষণদের সরকার হয়েছে। আমফান ইস্যুতেও মমতার সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরে তৃণমূলকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, শাসকদলকে না সরালে কেন্দ্রের টাকা পাওয়া যাবে না।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-19-at-20.35.15.jpeg)
এদিনের সভায় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সদস্য হন মোট ১০ বিধায়ক। এর মধ্যে ৭ জন তৃণমূলের, ২ জন বামেদের এবং ১ জন কংগ্রেসের বিধায়ক। এ ছাড়া পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, আলিপুদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতাও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখান। এই যোগদানের পর অমিত শাহ বলেন, এ তো সবে শুরু, ভোট আসতে আসতে মমতা একাই তৃণমূলে থাকবেন।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2020/12/WhatsApp-Image-2020-12-19-at-20.35.14.jpeg)
আয়ুষ্মান ভারত
, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি
র মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর না করা নিয়েও সরব হন অমিত। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাংলায় কেন কৃষকদের প্রকল্প চালু হল না। দিদি আপনাকে জবাব দিতেই হবে।’’ এদিন মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের তৃণমূল সরকারকে উতখাতের ডাক দেন শাহ। সেইসঙ্গে বিজেপিকে এক বার এ রাজ্য শাসনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এদিনও সোনার বাংলা গড়ার আশ্বাস দেন।