
বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল শুভেন্দুর গলায়। যোগদানের মঞ্চ থেকেই নাম না করে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।’’ শুভেন্দুর কথায়, আগে এই মাঠে তৃণমূলের হয়ে সভা করেছি, তখন বলতাম বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও। আর এখন বলছি তোলাবাজ ভাইপো হঠাও, দেশ বাঁচাও।
শুধু তাই নয়, এদিন স্থানীয় বিজেপি নেতাদের নাম করে তিনি বলেন, “মাতব্বরি করতে আসিনি। রাজ্যের মানুষের স্বার্থে দল আমাকে যে কাজ দেবে, আমি সেই কাজ করবো। পতাকা লাগাতে বললে আমি পতাকাও লাগাবো। একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে এ কাজ করবো।” অমিতের সভায় যোগ দিয়েই জেলার বিজেপি নেতার উদ্দেশে এমনই অভয়বাণী দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহের জনসভায় গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। একা শুভেন্দু নন, রাজ্যের শাসকদলের পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেসের একাধিক নেতাও আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই মঞ্চ থেকে যোগ দেন বিজেপিতে। বক্তব্যের প্রায় শুরুতেই শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা আত্মসম্মানে ঘা দিচ্ছিল’, তাই তিনি দল ছেড়েছেন। তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হচ্ছিল বলে দাবি করা শুভেন্দু এদিন স্পষ্ট বলেন, ‘‘অনেকে বলছেন, আমি না কি মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমি বলি, আমার মা গায়ত্রী অধিকারী। এবং ভারতমাতা আমার মা। আর কেউ আমার মা নয়।’’
এদিন শুভেন্দুর গলায় অমিত শাহের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায়। বড় দাদা সম্বোধন করে তিনি বলেন, অমিত শাহকে তুলে ধরেছেন ‘বড় দাদা’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম, তখন আমার পুরনো দলের কেউ খোঁজ নেয়নি। অথচ তাদের জন্য আমি কাজ করেছি। কিন্তু সে সময় অমিত শাহ আমার খোঁজ নিয়েছিলেন। দু’বার ফোন করেছেন। আমার বড় দাদা উনি। ভাইয়ের মতো স্নেহ করেন।’’ সেইসঙ্গে তৃণমূলকে তোপ দেগে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘মোদির হাতে বাংলা না তুলে দিলে এ রাজ্যের সর্বনাশ হবে।’’